পাইকারিতে দেশি-বিদেশি চালের দাম সমানে সমান

পাইকারিতে দেশি-বিদেশি চালের দাম সমানে সমান

অভ্যন্তরীণ ঘাটতি মেটানো এবং দাম কমাতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির লক্ষ্য সরকারের। এ লক্ষ্যে প্রায় ৩০০টি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে অনুমতি। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ আমদানি না করায় বাজারে দাম কমার ক্ষেত্রে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। উল্টো দেশি ও আমদানি করা চাল বিক্রি হচ্ছে সমান দরে।

সরকারের অনুমতির পর রাজধানীর পাইকারি বাজারে এখনো তেমন চোখে পড়ছে না আমদানি করা চাল। কিছু আড়তে দেখা মিললেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি করা চাল পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশীয় চালের দামেই।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সরেজমিনে দেখা যায়, দু-একটি ট্রাক এসেছে ভারতীয় চাল নিয়ে। মান ভালো হলেও পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, ভারতীয় চালের দাম প্রায় সমান হওয়ায় স্বাদে ভরা দেশি চালের দিকেই মনোযোগ ক্রেতাদের।

বর্তমানে মোহাম্মদ কৃষি মার্কেটে দেশি চালের মধ্যে গুটি স্বর্ণা ৪১, পাইজাম ৪৩, আটাশ ৪৭-৪৯ ও মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৫৭ টাকা দরে। বিপরীতে আটাশের সমতুল্য আমদানি করা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। এছাড়া আমদানি করা মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতীয় চাল পর্যাপ্ত পরিমাণ আমদানি করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছে না। বাজারেও দেখা মিলছে না চালের। সপ্তাহে দু-একটি ট্রাক আসলেও চাহিদার তুলনায় তা অত্যন্ত কম। বাজারে কিছু চাল সরবরাহ হওয়ায় দাম দু-একটা কমলেও আগের সংকটে আগের অবস্থানে চলে যাচ্ছে।

তারা আরও অভিযোগ করেন, মিল মালিকরা মিলে ৫৬ টাকা ৫০ পয়সা দরে প্রতিকেজি মিনিকেট বিক্রি করলেও বর্তমানে দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৯ টাকা। আগামীতে ভারতীয় চাল পর্যাপ্ত না আসলে দেশি চালের দাম আরও বাড়বে।

ভারতীয় চালের সরবরাহের বিষয়ে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের মেসার্স সোহেল এন্টারপ্রাইজের হাজী মো. মাহাবুবুর রহমান (সোহেল) জানান, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বেশি চাল আসছে বাংলাদেশে। সেক্ষেত্রে ভারত খুম কম পরিমাণ চাল ছাড় দিচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ ট্রাক চাল আসছে, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

এছাড়াও বিশ্ব বাজারে প্রতি টন চালে প্রায় ১৫ ডলার দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে। এতে লোকসানের আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে আমদানি চালের সরবরাহ বাড়াতে সব ধরনের শুক্তমুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন